কর্ণফুলীর বেহাল দশা দেখে চট্টগ্রামবাসীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সীমা না থাকলেও নির্লিপ্ত প্রশাসন। নদীর যেন কোনো মালিক নেই। মানব সৃষ্ট দূষণ, শিল্পকারখানার বর্জ্য এবং অবৈধ দখলাদারিত্বে কর্ণফুলী দিন দিন হচ্ছে শীর্ণ, দেখার কেউ নেই। কর্ণফুলীর প্রাণসঞ্চারণী ১৩টি খালসহ ৫৪টি ছোট-বড় খালের বেশির ভাগই দখল অথবা নানা অত্যাচারে বিলীন হয়ে গেছে। কর্ণফুলীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল। শিল্প কারখানাগুলোর ৯০ শতাংশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট বা বর্জ্য নিষ্কাশনের পরিবেশবান্ধব কোনো ব্যবস্থা নেই। ছোট-বড় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত বর্জ্য কর্ণফুলী ও হালদাতে গড়াচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতর বলছে, চট্টগ্রামের টিএসপি সারকারখানা, চন্দ্রঘোনার কর্ণফুলী কাগজ মিল, চট্টগ্রাম শহরের কাছে কালুরঘাট, নাসিরাবাদ, ভাটিয়ারি, বাড়বকু-, পতেঙ্গা, ফৌজদারহাট, কাপ্তাই ও ষোলশহর এলাকায় অবস্থিত ১৯টি চামড়াশিল্প, ২৬টি বস্ত্রকল, দু’টি রাসায়নিক কারখানা, একটি তেল শোধনাগার, পাঁচটি মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা, একটি ইস্পাত মিল, একটি পেপার রেয়ন মিল, আটটি সাবান কারখানা, চারটি রঙের কারখানা ও দু’টি সিমেন্ট কারখানার বর্জ্য প্রতিনিয়ত কর্ণফুলীকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে চলেছে। এসব মিল কারখানার বর্জ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সায়ানাইড, ক্রোমিয়াম, পারদ ও ক্লোরিনসহ নানা প্রকারের এসিড, সিসা, দস্তা, ক্যাডিয়াম, নিকেল, ফসফোজিপসাম, লোহা প্রভৃতি ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য। এগুলো শুধু মানবদেহ নয়, জীববৈচিত্রের জন্যও মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।
ভিডিওটি গত ২৪ আগস্ট বিকাল ৫টায় আমার এমপি ডটকমের একজন ভলান্টিয়ার ক্যামেরাবন্দী করেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মঈন উদ্দীন খান বাদল-এর দৃষ্টি আকর্ষন করা যাচ্ছে।
বিনীত
আমারএমপি
Whoops, looks like something went wrong.
1/1ErrorException in Filesystem.php line 111:file_put_contents(/var/www/amarmp.com/public_html/storage/framework/sessions/96859c269f27d0442f17931f73f03fe356c1ce06): failed to open stream: No space left on device