২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের প্রতিশ্রুতিতে ব্যাপক সাড়া দেয় নতুন প্রজন্মের ভোটাররা। সে নির্বাচনে নিরঙ্কুশসংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গত ৮ বছরে অনেক সাফল্য দেখালেও স্বয়ং আওয়ামী লীগের অধিকাংশ এমপি, মন্ত্রীরা এখনো নিজেদেরকে ডিজিটাল করতে পারেননি। তাদের অনেককে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগেও ফেসবুক বা ইমেইলেও পাওয়া দুষ্কর।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচিত ৩’শ এবং সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের এমপিদেরকে জনগণের মুখোমুখি করতে এবার আসছে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ ‘আমার এমপি ডট কম’ নামের একটি সাইট। কেউ যদি কোনো বিষয়ে জানতে বা জানাতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিলেই যে এমপিকে প্রশ্নটি করছেন তিনি পেয়ে যাবেন।
আমার এমপি ডট কম ওয়েবসাইটটি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে গত এক বছর ধরে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে চলতি বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহে। এমনটাই জানিয়েছেন, ওয়েবসাইটটির প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার মোহাম্মদ।
এই ওয়েবসাইটে থাকবে দেশের সব এমপির তথ্য। যে কেউ ওয়েবসাইটে ঢুকে নিজের এলাকা ও এমপির নাম দিলেই তার সব তথ্য চলে আসবে। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা এমপিদের সকল সম্পদ বিবরণীও থাকবে সেখানে।
কেউ চাইলে তার এমপিকে ই-মেইল, ফোন, টুইট ও প্রশ্ন করার অপশনও পেয়ে যাবেন এই ওয়েব সাইটে। দরকারি মেনুতে ক্লিক করে যোগাযোগ ও সব প্রশ্ন করা যাবে। এমপির বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাও আছে ওই ওয়েবসাইটে।
ওয়েবসাইটটির নির্মাতা লন্ডনভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান টেকশেড লিমিটেড। ওয়েবসাইটটির প্রধান অফিস সিলেটের হবিগঞ্জে। মুঠোফোনে কথা হয় প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার মোহাম্মদের সঙ্গে।
তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে একজন সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তার জনপ্রতিনিধিকে খুঁজে পাবে। তার মনের কোণে জমে থাকা প্রশ্ন করতে পারবে যেকোনো সময়। ওয়েবসাইটটিতে জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পিটিশন দাখিল করারও সুযোগ থাকবে। যদি সেই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ পিটিশন দাখিল করেন তবে সেই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এমপির নজরে ওয়েবসাইটটির উদ্যোক্তারাই আনবেন।’
এই উদ্যোগের পরিকল্পনা সম্পর্কে ইফতেখার বলেন, ‘২০১০ সালে এই ওয়েবসাইটটি বানানোর ভাবনা আসে আমাদের মাথায়। তখন থেকেই আমরা পরিকল্পনা করেছি এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার। এরপর ২০১৬ সালে এটি আমরা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছি।’
এই সময়ে সব এমপির সব তথ্য সংগ্রহ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ সেরে নিচ্ছেন তারা। এ জন্যই আনুষ্ঠানিক যাত্রায় দেরি হয়েছে বলে জানান ইফতেখার।
তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে চালু করার জন্য ৩৫০ জন এমপির তথ্য লাগবে। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা দেখি, তাদের সাত-আটজন ছাড়া কারোই কোনো ওয়েবসাইট নেই। তাই আমরা প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাদের সম্মতি নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অনুমতির দরকার আছে। সবকিছু ঠিক করতে সময় লেগেছ।’
ইতোমধ্যে সবকিছু গুছিয়ে ফেলেছেন জানিয়ে ইফতেখার বলেন, ‘এই মাসেও আমরা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বসেছি। আশা করছি, মার্চের মধ্যেই আমরা এই ব্যতিক্রমী ওয়েসাইটটি উদ্বোধন করতে পারব।’
Source: Channel-I Online.
Zunaid Ahmed Palak -জুনাইদ আহ্মেদ পলক Md. Shahriar Alam -মোঃ শাহ্রিয়ার আলম Nasrul Hamid -নসরুল হামিদ Saber Hossain Chowdhury -সাবের হোসেন চৌধুরী Md. Shirajul Islam Mollah -সিরাজুল ইসলাম মোল্লা Sheikh Hasina -শেখ হাসিনা3583 views