বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদের ৩০০ টি আসনের ১৯৯১-২০০৮ সালের ভোটের সুইং/মার্জিনাল/সেইফ এনালাইসিস করে দেখা যায়, ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২১৯ টি আসনই সুইং/মার্জিনাল! আওয়ামী মেজরিটি সিট হলো ৪৩, বিএনপি মেজরিটি সিট ২৮ এবং জাতীয় পার্টি মেজরিটি সিট ১০ টি।
রংপুর বিভাগঃ
রংপুর বিভাগের ৩৩ টি আসনের মধ্যে ৯ টি আসনই জাতীয় পার্টি মেজোরিটি আসন। আর বাকি ২৪ টি আসন মার্জিনাল/সুইং আসন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই বিভাগে আওয়ামী মেজরিটি কিংবা বিএনপি মেজোরিটি কোন আসন খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
রাজশাহী বিভাগঃ
১৯৯১-২০০৮ সালের নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষন করে দেখা গেছে যে, রাজশাহী বিভাগে জাতীয় পার্টির কোন আসনই নেই। অন্যদিকে দেখা যায় মট ৩৯ টি আসনের মধ্যে ২৮ টি আসনই মার্জিনাল/সুইং। ৫% ভোট এদিক-সেদিক হলেই জিতে যেতে পারে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি।
রাজশাহী বিভাগে এগিয়ে আছে বিএনপি। এই বিভাগে ৮ টি আসনই বিএনপি মেজরিটি আসন। আর আওয়ামী লীগ মেজরিটি আসন মাত্র ৩ টি।
খুলনা বিভাগঃ
১৯৯১-২০০৮ সালের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় এই বিভাগে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি মেজরিটি কোন আসন নেই। মোট ৩৬ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ মেজরিটি আসনের সংখ্যা ৬টি। বাকি ৩০ টি আসনই মার্জিনাল। ৫% ভোট এদিক সেদিক হলে জিতে যেতে পারে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির যে কোন প্রার্থী।
বরিশাল বিভাগঃ
১৯৯১-২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় যে এই বিভাগে দলগতভাবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ৭০ টি আসনের মধ্যে ২০ টি আসনই আওয়ামী মেজরিটি আসন।
অন্যদিকে বিএনপি মেজরিটি আসন সংখ্যা সর্বোচ্চ ২ টি- একটি টাংগাইল জেলায়, অন্যটি মানিকগঞ্জ জেলায়।
জাতীয় পার্টির কোন অবস্থানই নেই ঢাকা বিভাগে।
উল্লেখ্য এই বিভাগে ৭০ টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনই মার্জিনাল/সুইং। ৫% ভোট এদিক সেদিক হলে জিতে যেতে পারে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যে কেউ।
সিলেট বিভাগঃ
১৯৯১-২০০৮ সালের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এই বিভাগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন সেইফ সিট/মেজোরিটি সিট নেই পুরো চট্রগ্রাম বিভাগে।
এই বিভাগে এককভাবে এগিয়ে আছে বিএনপি; ১৫ টি মেজরিটি আসন বিএনপির।
মোট ৫৮ আসনের মধ্যে ৪৩ টি আসনই মার্জিনাল/সুইং!
46931 views