Ambassador
View Question 3190 views
Subject : ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং এলাকার উন্নয়ন
Written By : Raisa
প্রথমে সালাম রইল এমপি সাহেবকে।
আমি ২ টা বিষয়ে জানতে চাই মাননীয় এমপি মহোদয়ের কাছে।
১। বর্তমানে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাছাই করে সাজা দেওয়া হবে এবং সনদ বাতিল করা হবে বলে আমরা জেনেছি। আমাদের বড়াইগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জনাব আফসার আলী কি আসলেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা? এলাকার মুরব্বি থেকে শুরু করে প্রায় সবাই জানে উনি মুক্তিযোদ্ধা না। অথছ সেই শিক্ষক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে তার ২ ছেলে মেয়ে কে বিসিএস ক্যাডার বানিয়েছে। এই রকম ভুয়া সনদ দিয়ে দেশের সব থেকে উঁচু পর্যায়ের চাকরি নেওয়া কি উচিত? আর এত কিছু হয়ে গেলেও মাননীয় এমপি সাহেব কেন চুপ থেকেছেন? এখনো উনি চুপ। দেখব বা দেখছি বলে এড়িয়ে যাবেন না। যদি পারেন প্রমাণ করে দিন বড়াইগ্রাম বাসীর কাছে যে, আফসার আলী(প্রিন্সিপাল) একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। উনি বিএনপি করে এটা মেনে নিব কিন্তু এমপি সাহেব আপনি প্রমাণ করে দিন আফসার আলীর সনদ ঠিক আছে।
২। আমাদের বড়াইগ্রাম বাসীর সাড়া জীবনের একটা দাবী হল বনপাড়া এবং বড়াইগ্রাম ২ টা আলাদা উপজেলা করা। এক উপজলায় মনে হয় ২ টা সাব-রেজিস্টার অফিস কোথাও নেই কিন্তু বড়াইগ্রাম থানায় আছে। নামে উপজেলা বড়াইগ্রাম কিন্তু কাজ কর্মে সব কিছু বনপাড়ায়। বিএনপির আমলে এটা ভাগ করার কথা বলা হলেও আওয়ামীলীগের আমলে আপনি এমপি হওয়ার পরে এই কথা ভুলেও একবারও উচ্চারণ করেন নাই। কেন? আমাদের আসল বড়াইগ্রামের ভোটে জয়ী হন বারবার কিন্তু আমাদের এলাকার রাস্তা ভাঙ্গা, ব্রিজ ভাঙ্গা, বাজার এলোমেলো, পৌরসভা অঞ্চল অপরিষ্কার, ড্রেন নাই, কলেজে মানসম্পন্ন শিক্ষক নাই(সরকারী হওয়ার পথে যে কলেজ সেই কলেজেও এই যুগেও পাশ করে ৬০%, ২০১৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষায়), দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল দেশ গড়ার কথা বললেও আপনি এখনো আসল বড়াইগ্রামে ইন্টারনেট সুবিধা দেন নাই(ব্রডব্যান্ড লাইন নাই, থ্রি জি নাই যে ২ টা আছে একদম গতি কম), আসল বড়াইগ্রামে বাংলাদেশের সব থেকে বড় রসুন হাট বসে এই এলাকার অনেক দিনের দাবী একটা কৃষি ব্যাংকের কিন্তু দেন নাই, নদী দখল করে নিছে কিছু বলেন নাই, গরমের দিনে ২০ ঘণ্টা কারেন্ট থাকে না। এই রকম আরও অনেক কিছুই আছে।
এই কথা গুলোর উত্তর আশা করছি আমি।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন ।
Written By : Md. Abdul Quddus -মোঃ আব্দুল কুদ্দুস