আমার সালাম নিবেন। আমি আপনার এলাকার একজন সাধারণ ব্যাক্তি। পেশায় ছাত্র (অনার্স)। আমি আসলে আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য লিখছি না, আমি জানি আপনি অত্যান্ত বিচক্ষন। তাই কয়েকটি বিষয় আপনার সামনে আনতে চাই।
আমাদের এলাকার অন্যতম একটা সমস্যা হল মশা। মশার অত্যাচারে ঘরের ভিতরেই থাকা যায় না বাইরে তো বাদই দিলাম। এইটা সামান্য বিষয় হলেও চিকনকুনিয়া যেভাবে মহামারী আকার ধারণ করছে তাতে আগে থেকে সতর্ক হওয়া কি ভাল নয়? আগে দেখেছি মশা মারার জন্য পৌরসভা থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ (স্প্রে,পাওডার) নেওয়া হত। গত ২/৩ বছরে তা আর হয়নাই।
আপনি তো অনেক ঘুরেন।আচ্ছা আপনি কি কখনো লোকলয়ে ভাগাড় (কোন এলাকার ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান) দেখেছেন? আমি দেখিনাই কিন্তু এখন দেখিতেছি। জ্বী আমরা দেখতেছি এখন। ব্যক্তিগত স্বার্থে (পুকুর ভরাট) একজন অনেকদিন ধরেই ময়লা ফেলতেছে। তীব্র ময়লা পচা গন্ধে সরকারী ভূষণ হাই স্কুল মাঠের আশে পাশে যাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে তো ওইখানে আগুন ধরানো হয়। ধোয়ায় পুরা এলাকা অন্ধকার হয়ে যায় (এমনকি বাস স্ট্যান্ডেও ধোয়া পাওয়া যায়)। ঠিক মত নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে এত তীব্র ধোয়া হয় যে চোখ জ্বালা করে, কাশি হয়। আগুন নিভাবে আবার ফায়ার সার্ভিস ডাকে।আপনি এ বিষয়ে অবগত কি না আমি জানিনা। কেউ কিছু বলেও না তাদের। আচ্ছা একজনের ব্যাক্তিগত সার্থে সবাই কষ্ট করবে কেন? এখন বর্ষাকাল সাথে মশাদেরও মোক্ষ্যম সময় বংশবিস্তারের।অন্যান্য রোগের জীবানুর কথা বাদই দিলাম পচা ময়লা আবর্জনা আর জমাট বাধা পানি মশাদের স্বর্গরাজ্য।এমন অনেক রোগের জীবাণু আছে যেগুলা পচা আবর্জনা তে জন্মায় আর বাতাসের মাধ্যমে মানব দেহে ছড়ায়।
আমি চাইনা আমাদের এইখানেও চিকনকুনিয়া বা অন্যকোন রোগ মহামারী আকার ধারণ করুক। তাই আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।