View Question 2085 views

Subject : সুরকিমিল খোর্দ্দ সাপটানা লালমনিরহাট রেলওয়ের ভবন ও জায়গা দখল!!! গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ ব্যবসা!!!

Avatar

Written By : AmarMP Admin

মাননীয় এমপি

শুভেচ্ছা নিন।

সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে রেলের শহর লালমনিরহাট জবরদখলদারদের কবলে। দখল যার জমি তার নীতিতে রেলের সরকারি জমি দখল করে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হলেও দেখার যেন কেউই নেই।
লালমনিরহাট স্টেশন রোডে সুরকিমিল খোর্দ্দ সাপটানা কলোনির মেইন রোডের পাশে রেলের জায়গা ও ভবন দখল করে গড়ে উঠেছে ইট,খোয়া ও বালুর অবৈধ ব্যবসা।আর এই অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে " শ্রমজীবী সমিতি " নামক অবৈধ স্থাপনা।

রেলওয়ের নিজস্ব পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে রেলের জায়গা বেশি বেদখল হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলে আবার পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগের মধ্যে বেদখলের পরিমাণ লালমনিরহাটেই বেশি। বেদখল হওয়া সম্পত্তির মধ্যে লালমনিরহাটেই আছে ১০৫ দশমিক ৬ একর জমি। রেল বিভাগ এসব জমি পুনরুদ্ধারে তদন্ত কমিটি গঠন করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পরও নিজেদের দখলে নিতে পারেনি। বরং প্রত্যেকবার সরকার পরিবর্তনের পর রেল বিভাগের আরও জমি নতুন করে অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে যায়।ফলে অযোগ্য তদন্ত কমিটির যত্রতত্র তদন্তে সরকারি রেল বিভাগের দখলকৃত জমি উদ্ধার কিংবা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পরিবর্তে মোটা অংকের টাকা পকেটে ভরে একের পর এক নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা সত্বেও তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত কমিটির দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতাই বড় আলামত।ঘরের শত্রু বিভিষন তার জলন্ত উদাহরণ হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধারে গঠিত তদন্ত কমিটি।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট স্টেশন রোডে সুরকিমিল খোর্দ্দ সাপটানা কলোনির রেলওয়ে ভবনের জায়গা দখল করে প্রভাবশালীরা প্রকাশ্যে গড়ে তুলেছে ইট, খোয়া,ও বালুর অবৈধ ব্যবসা। ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রেলওয়ে ভবনের গা ঘেষে স্থাপন করা হয়েছে একটি টিনসেড ঘর, আর ঘরটির সামনে একটি বিলবোর্ডে লেখা হয়েছে শ্রমজীবী সমিতি। যা ব্যবসা পরিচালনায় শ্রমজীবী মানুষের নাম ব্যবহার করছে চৌকস প্রভাবশালী মহল।
সরকারি জায়গায় সরকারি ভবনের সাথে অনঅনুমোদিত সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা বড় হতাশাজনক।


সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় যে, রেলওয়ের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, "দৃষ্টি রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপে" র কার্যালয়টিও রেহাই পায়নি জবরদখল কারীদের কবল থেকে। গুরুত্বপূর্ণ এই কার্যালয়টির দরজায় রাখা হয়েছে ইট খোয়ার ভাগাড়।কার্যালয়ের দরজাটি জরাজীর্ণ ভাঙা টিন দিয়ে আগলে রেখে তালাবদ্ধ করা, রেলওয়ে কর্তপক্ষের চোখে কি এসব পড়েনি,নাকি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে অন্ধত্বের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে..? প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে এমন অবৈধ কার্যক্রমে কোনরকম ভূমিকা পালন না করা জবরদখলের শামিল। লালমনিরহাট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কি এসব জবরদখলের সাথে জড়িত...?

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগটি বাঁচিয়ে রাখতে দায়িত্ববান কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে মূল রহস্য উম্মোচন করা অতীব জরুরী।

বিনীত

আমার এমপি টিম