গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সব থেকে আলোচিত জেলার নাম হচ্ছে কক্সবাজার । আর এই আলোচিত-সমালোচিত হওয়ার মুল কারণ হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা স্বরনার্থী ।
কক্সবাজার জেলার উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ ও জাতি সঙ্ঘ ।এছাড়া বিভিন্ন এনজিও,দাতাসংস্থা,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,কোম্পানী,এমনকি মানবিক টানে এগিয়ে এসেছেন ব্যাক্তি মানুষ ও ।
কিন্তু এই রোহিঙ্গারাও সমালোচিত হয়েছেন তাদের বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমের জন্য ! রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই বসছে এখন পাইকারী ও খুচরা বাজার ! আর স্থানীয়রা এই বাজারের নাম দিয়েছেন রোহিঙ্গা বাজার ! এই রোহিঙ্গা বাজারে ত্রাণের সকল কিছুই পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে !
ভিডিওতে যে বাজারটি দেখছেন সেটি উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারের দৃশ্য । ২৬ টি ক্যাম্পের প্রায় সবগুলো ক্যাম্পেই এরকম এক বা একাধিক অবৈধ বাজার বসেছে। জানা গেছে স্থানীয় সিন্ডিকেট ও রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে এই সকল বাজার পরিচালনা করা হচ্ছে । এখানে মোবাইলে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । কেউ ছবি কিংবা ভিডিও করতে গেলে তার মোবাইল বা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এই সিন্ডিকেট চক্র। এর মুল কারন হচ্ছে এখানে সব ধরনের প্রোডাক্ট হচ্ছে রিলিফের। যা আইনত ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।
রমজানের কারণে বাজারে লোক সমাগম খুব কম দেখা গেলেও এখানের স্থানীয় ও বাইরে থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে এই বাজার সব সময় পরিপূর্ণ থাকে !
দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছুই মিলছে এই রোহিঙ্গা বাজারে । রিলিফের গ্যাসের সিলিন্ডার, চুলা, চাল, ডাল, তেল, দেশি-বিদেশি সাবান, পুষ্টি,ছাতা, ব্যাগ,বালতি, মগ সহ প্রায় একশোর অধিক আইটেমের নানান প্রোডাক্ট এখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। জানা যায় চাল প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, তেল ৫০-৬০ টাকা লিটারে ওরা বিক্রি করছে খুচরা মূল্যে।পাইকারি দাম আরও অনেক কম। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় মুদি দোকানীরা।তাদের অভিযোগ আইনের চোখের সামনে দিয়ে রোহিঙ্গারা এই কাজ করছে কিন্তু কারও কোন ভ্রূক্ষেপ নেই এতে।ফলে অনেক ব্যবসায়ির পরিবার হতাশায় ভুগছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এবং ইউএসএইড এর সহযোগিতায় রিলিফের বিভিন্ন মালামালের গুদাম ঘর বানানো হয়েছে যেখানে উন্মুক্তভাবে ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ করা হচ্ছে !
ভিডিওটি গত ২৩ শে মে, ২০১৯ এ উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আমার এমপির একজন ভলান্টিয়ার ধারণ করেন !
এই বিষয়ে কক্সবাজার -০৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শাহীন আক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।