Ambassador

No ambassador found for this MP

Apply to represent him

View Question 2720 views

Subject : দিগরাজ বাজার নিয়ে জীবনের ঝুকি।

Avatar

Written By : মোঃ জিহাদ সরদার টনি

মোংলা বন্দর এর বর্তমান প্রাণকেন্দ্র দিগরাজ বাজার। এখানে কম বেশি সব ধরনের মানুষের আনাগোনার বিচারন ভূমি। শ্রমজীবী, ব্যবসায়ী, ছাত্র সমাজ, দিনমুজুর সহ হাজারো রকমের মানুষের যোগাযোগ স্থল। দৈনিক চাহিদামত আসবাবপত্র, মালামাল ও অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান দিগরাজ বাজারে। এখানে একদম বাজার সংলগ্ন অবস্থান করছে বি এন এস স্কুল এন্ড কলেজ, দিগরাজ দাখিল মাদ্রাসা, দিগরাজ স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এবার আসি মুল আলোচনা নিয়ে,আমাদের এই ছোট্র বাজারে নেই কোন সুন্দর বাজার ব্যবস্থাপনা। এখানে পশ্চিমে আছে বিডিআর রোড বা বাজুয়া রোড, পূর্বে একদিকে ব্যাংক রোড, আর অন্য দিকে কলেজ রোড, এবং মধ্যে দিয়ে খুলনা-মোংলা মহাসড়ক। ঝুকিপুর্ন এলাকাঃ ১। ট্রাক র্টামিনাল। ২। ব্যাংক রোড মোড়। ৩। কলেজ মোড়। ৪। মাছের আরৎ ও বাশ হাট খোলা। এখানে আছে অগণিত চা, পান সিগারেট এর দোকান। যা একটার পর একটা সৃষ্টি হচ্ছে যেখানে সেখানে। বিষেশ করে রাস্তার পার্শে। আছে ইজিবাইক,নসিমন, করিমন, ভ্যান এখানে সেখানে। যার কারনে এক্সসিডেন্ট হচ্ছে প্রতিদিন প্রায়। এখানে অতিথি পাখির মতন উড়ে আসে নানান রকমের অসাধু বা সাধু ব্যবসায়ীশ্রেণী। এরা কোন জায়গা না পেয়ে বসে পরে মহাসড়কে গা গেসে দুই পাশে। হাটের দিনে ঝুকির মার্তাটা অনেক বেশি। কিছু হকারদের কারনে ছোট বাচ্চা ও মেয়ে ছেলেদের চলাচলে খুব সমস্যায় পরতে হয়। মাছের বাজার সম্পুর্ন সরকারীব্যবস্থা। এদের এখানে লক্ষ লক্ষ টাকা ভাড়া বানিজ্য চলে।ব্যবসা করতে হবে সরকারী জায়গায়। এদের জন্য এই অব্যবস্থাপনা অনেকটা দায়ী। কলেজ রোডের উত্তর মহা সড়কে কিছু হোটেল থাকাতে ট্রাক থামিয়ে থাকে। এতে করে গাড়ি ওভারটেক করতে পারে না এজন্য প্রায় লম্বা যানজট লেগে থাকে এবং এক্সসিডেন্ট হয়। আরো আছে অনেক কিছু। এবার আশি ব্যবস্থাপনায়। ইউএনও( উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা) স্যার, রোড এন্ড হাইওয়ের জায়গা ইজারা দেন। যদিও সরকারী ভাবে জায়গা বরাদ্দ নাই। রোড এন্ড হাইওয়ের জায়গায় এমনটি চলে আসছে। এতো টাকা লিজ নিল হাট, বাজারের কথা বলে, কি উন্নয়ন করেছেন এই বাজারে। নেই কোন বাথরুম/ টয়লেট বা পনির ব্যাবস্থা। একটি করা হলেও সামনে দোকান করে দখল করে রেখেছে। মহিলাদের খুবই সমস্যায় পরতে হয়। কদিন পর পর রোডস এন্ড হাইওয়ের ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংতে আসে। হাট বাজারের নীতিমালা অনুযায়ী কাচা বাজার, মাছের বাজার, মাংসের বাজার, মুদী বাজার, স্থায়ী বা অস্থায়ী বাজারের ব্যবস্থাপনা আলাদা ভাবে থাকলেও এখানে তার উল্টা। এখানে তেমন কোন ভালো বাজার ব্যবস্থাপনা নাই। এখানে মার্কেট এর সামনে এমন ভাবে কিছু অস্থায়ী দোকান আছে, যাদের করনে মার্কেট এর স্থায়ী ব্যবসায়ী বৃন্দরা লক্ষ লক্ষ টাকা লস করছে। বনিক সমিতির নেতাদের বল্লেও কিছু করে না। কারন, এখানে সাধারন নির্বাচন দিচ্ছে না। আমাদের স্থানীয় নেতাদের উস্কানি বা সহযোগিতায় এমনটি হচ্ছে। আর সাধারন পথচারি চলছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। কে করবে প্রতিবাদ। আপনার সহায়তা দরকার। এখানে স্থানীয় নেতা ও গন্য মান্য মহাদয় দের নিয়ে আমি আলোচনা করে কিছু করতে পারিনি।, আপনাদের কাছে অনুরোধ। স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ, ইজারাদার ও বনিক সমিতি গং সহ গন্যমান্য ব্যক্তি মহাদয়দের নিয়ে আপনি বললে অনেকটা সমাধান হতে পারে। বর্তমানকালীন মহাসড়ক দিয়ে যে পরিমান যানবাহন যাতায়াত করে এতে সকলের জন্য বিপদ ধেয়ে আসছে। কখন কি হবে কে জানে। এই বাজারের ব্যবস্থাপনায় একমাত্র আপনার হস্তক্ষেপ হলেই সুন্দর গতি পাবে। আওয়ামীলীগ এর সাধারন একজন কর্মী হিসাব থাকতে চাই। আপনার আদর্শ, নীতি, অনুপ্রেরনার একজন সাহসী যুবলীগ কর্মী। আপনার সু-চতুর চিন্তাশক্তি আজ আমার জনপথের পরিবর্তন, উন্নয়ন। আপনি হাজার বছর বেচে থাকবেন দক্ষিন বাংলার প্রতিটা মানুষের মনে। ভালো থাকবেন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

মোঃ জিহাদ সরদার টনি সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ২ নং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখা। মোংলা বাগেরহাট।