ভৌগলিক , রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া একটি একটি জনপদের নাম উত্তরের জনপদ। এই জনপদের একটি আলোচিত নাম, নজরুলের উপরোক্ত কবিতার লাইনে সন্মানিত , কাজী নজরুলের ভাষায় সবচেয়ে বেশি সন্মানিত জেলা সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রাম। কাগজ কলমে ১৬ টি নদী এই ছোট্র জেলাটির বুকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। আর প্রতিবার বয়ে যাওয়ার সময় জন্ম দাগের মত বন্যার ভয়াল ছোবল দিয়ে যায়। ২১ লাখ মানুষ ( ঠিক মানুষের মত দেখতে কিন্তু ১৪ দশমিক ৭ লক্ষ মানুষ দারিদ্র ) এর ভাগ্য নির্ভর করে এর এর তীব্রতার উপর। প্রতিবার এর তীব্রতা ভয়াল থেকে আরো ভয়াল আকার ধারন করে। এই সকল নিয়তির উপর ছেড়ে দিয়ে এই মানুষ গুলো যখন কাজ কর্মের খোঁজে ঢাকা শহরের দিকে পাড়ি জমায় তখন প্রতি নিয়ত বিরম্বনার স্বীকার হয় , কখনো নিজের জনপদের কিছু সার্থপর মানুষের কাছে,কখনো নিজের ভাগ্যের কাছ থেকে । এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ তাদের এলাকার জনপ্রতিনিধির নাম জানে না। যারা জানে , তাদের বেশির ভাগ ই চোখে দেখে নাই। এটার কারন শুধুর রাজনৈতিক অজ্ঞানতা ই নয়, কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক অবহেলার প্রতিফলন মাত্র। বিগত সরকার সমূহ ( সেনা ও গণতান্ত্রিক ) এই অঞ্চল গুলাকে শুধুই ত্রাণ বিতরণ এর জন্য নির্দিস্ট করে রেখেছেন। ইদানিং তথ্য প্রযুক্তি খাতে উন্নত হওয়ার কারনেই সবাই প্রায় রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হয়ে দারিয়েছে ( যেটা অন্যান্য জেলা গুলো আরো ৩০-৪০ বছর আগেই হয়েছিল )। কিন্তু এই দারিদ্রের জন্মদাগ নিয়ে এগিয়ে চলা অনেক কস্ট সাধ্য ব্যাপার। যদি সরকার এই অঞ্চল তথা কুড়িগ্রাম কে বিশেষ ভাবে উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ না নেয় , তাহোলে হয়ত কুড়িগ্রাম এর দারিদ্রতার হিসেব পুরো বাংলাদেশের গড় মাত্রাকে ব্যাহত করবে।এই শুধু মাত্র কুড়িগ্রাম কে বাংলাদেশ থেকে বাদ দিলে প্রায় ১ শতাংশ এর কম দারিদ্রতার হার কম দেখাইতে পারবে সরকার।
আশা করি শুরু যখন হয়েছে , একদিন না একদিন এই জনপদের মানুষ সংঘবদ্ধ হবে। আশার আলো আনবে।এক দিন সবাই জিজ্ঞেস করবে সমগ্র বাংলাদেশ এর দারিদ্রতার হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ তখন আমরা কেন ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ কেন ??? এই কেন এর জবাব চাই ?