গত ৩ জুন ২০১৯ একজন গ্রাহক তার মটরসাইকেল এর রেজিস্ট্রেশন কাগজ জমা দেয়ার জন্য গাইবান্ধা মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এর কার্যালয়ে উপস্থিত হন। উল্লেখ্য তার মোটরসাইকেল উক্ত কার্যালয়ের অন্য একজন অফিসার দ্বারা ভেরিফাই করা ছিল। শুধু একটি সাইন বাকি ছিল। কিন্তু তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে কেন অফিসে এসেছে? শোরুমে টাকা দিলেই তো হয় ! কিন্তু শোরুমে মোট এর চেয়ে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয় বিধায় গ্রাহক নিজেই অফিসে এসেছে । এটা বলার পর তাকে প্রায় বেলা ৩ ঘটিকা পর্যন্ত বসে রাখা হয়। বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। এর মধ্যে দেখা যায় অনেকেই তার পরে ফাইল নিয়ে এসে সাইন করে নিচ্ছে। ইশারা ইঙ্গিতে ঘুষ লেন দেন করতে দেখেন তিনি। মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান নিজে কোন লেনদেন করেন নি কিন্তু উনার এসিসটেন্ট এর মাধ্যমে লেন দেন গুলো হচ্ছিল। সর্বশেষ বেলা ৩ টার পর বারংবার অনুরোধের পর গ্রাহককে অন্য কক্ষে নিয়ে গিয়ে বলা হয় ৭০০ টাকা ঘুষ দিতে। গ্রাহক সরাসরি না করে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান কে বলে যে কেন টাকা চাচ্ছেন, ফাইল টা সাইন করে দিন।কিন্তু তাকে বলা হয় কিছু সারভিস চার্জ, বকশিস ওদের দিয়ে দিন। তাকে আবারও অপেক্ষা করতে বলে অন্য লোকদের সাথে লেন দেন চলতে থাকে। এমতবস্থায় গ্রাহক মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। ভিডিও তে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান কে না দেখা গেলেও উনার এসিসটেন্ট লেনদেন করেছে সেটা স্পষ্ট দেখা যায় সেই সাথে তাহার অফিস ও চেয়ার দৃশ্যমান। ভিডিও করার সময় তার এসিসটেন্ট বুঝতে পারলে গ্রাহককে আটকানো হয়, ফোন কেড়ে নিয়ে সকল ফাইল ডিলেট করা হয় এবং প্রচুর জেরা ও হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান নিজেও গ্রাহকের উপরে চড়াও হয়। অনেক বাক বিতন্ডার পরে ফোনটি দেওয়া হয় এবং ফাইলে সাইন করে ড্রাফট কাগজে সিল সাইন করে দেয়। তবে এন্ড্রয়েড মোবাইল এ ফাইল ডিলেট করা হলেও ক্লাউডে আপলোড হবার সুবাদে ভিডিও গুল থেকে যায়।সরকারী অফিসে এরকম দিন দুপুরে দুর্নীতিতে জনমানুষ এখন একপ্রকার জিম্মি হয়ে আছে।
এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য গাইবান্ধা ২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মাহবুব আরা বেগম গিনি এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।