এটি একটি টেলিকম কোম্পানীর (রবি) টাওয়ারের ফ্লোরের দূষণ সম্পর্কিত ভিডিও। টাওয়ার যেখানে ইন্সটল করা হয়েছে সেখানে আপনারা দেখতে পারছেন কি পরিমাণ আবর্জনা যত্রতত্র ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। কোম্পানিটি বিভিন্ন সময়ে নানারকম রিপেয়ারিং এর কাজ করে। কাজ করার সময় যতধরণের আবর্জনা আছে যেমন, প্লাস্টিকের তার, বাদ যাওয়া যন্ত্রাংশ, এছাড়াও আরো নানা ধরণের আবর্জনা তারা এখানে ফেলে রাখে। যার ফলে বৃষ্টির সময়ে সেখানে পানি জমে এবং মশার জন্ম নেয়। আশে পাশের আবাসিক ভবনগুলোতে ঐসব মশার কারণে বিভিন্ন ধরণের রোগ হয়। এছাড়াও আমি যখন এই বাসায় নতুন উঠেছিলাম তখন এই টাওয়ারের নিচে ৩০ টার মত পায়রা মরে পড়ে থাকতে দেখেছি। পরে একদিন কোম্পানীর লোকজন এসে সেগুলো ফেলে দিয়ে যায় কিন্তু তারা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে না। এই ভিডিওটা শুধু মাত্র একটি উদাহরণ মাত্র। দেশের হাজার হাজার টাওয়ারের এরকম ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটা ছোট মনে হলেও, এই হাজার হাজার টাওয়ারের রেডিয়েশনের কারণে কত প্রাণী দৈনিক প্রাণ হারাচ্ছে তার সংখ্যা গণনা করা সম্ভব না। আমি একটা টাওয়ারের উদাহরণ দিয়েছি যেটা আমি নিজে দেখেছি। আর আবর্জনাগুলো সবই টেলিকম সম্পর্কিত যন্ত্রাংশের। সেগুলোর অধিকাংশই নষ্ট হয় না, পচে না। ফলে বৃহৎ ভাবে যদি দেখা যায় তাহলে এরকম প্রত্যেকটা টাওয়ারের নিচে যদি আবর্জনা এভাবে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয় তার ফলে পরিবেশ দুষণের পরিমানটাও নেহাত কম নয়। আমি জানি না টাওয়ার যেসব বিল্ডিং এ থাকে, যেই ছাদ টাওয়ার কোম্পানী আলাদা করে তৈরি করে টাওয়ার বসানোর জন্যে সেটার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব কিংবা এব্যাপারে সরকারের কোন নীতিমালা আছে কিনা যদি থাকে তাহলে অচিরেই টাওয়ার কোম্পানীগুলোকে এই ব্যাপারে জানিয়ে এই পরিবেশ দূষণ বন্ধ করা উচিৎ।
ভিডিওটি ঢাকার উত্তরার পাশেই রানাভোলা থেকে ধারণ করা।
উপরোক্ত বিষয়ে আপনার সদয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।