রাজা হরিশচন্দ্রের প্রাসাদ হল বাংলাদেশের ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় অবস্থিত একটি পুরাকীর্তি বা প্রত্নস্থল। এটি রাজা হরিশচন্দ্রের ঢিবি, রাজা হরিশচন্দ্রের বাড়ি, রাজা হরিশচন্দ্রের ভিটা ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
রাজা হরিশচন্দ্রের রাজবাড়ি বা ঢিবি ঊনিশ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজন মাটিচাপা এই স্থানটিকে রাজবাড়ি ঢিবি হিসেবে চিহ্নিত করত।
১৯১৮ সালের দিকে রাজবাড়ি-ঢিবির কাছাকাছি গ্রাম রাজাসনে ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী এক প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ পরিচালনা করেন।
এই খননকাজের ফলে আবিষ্কৃত হয় বৌদ্ধদের ধর্ম ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু প্রত্নবস্তু ও গুপ্ত রাজবংশের অনুকৃত মুদ্রাস্মারক। এতে সেখানকার বৌদ্ধ মূর্তির পরিচয় পাওয়া যায়। এরই সূত্র ধরে ১৯৯০-১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে হরিশচন্দ্র রাজার প্রাসাদ-ঢিবিতে খননকাজ চালানো হয়।
বিহারের স্থাপত্যশৈলীতে চারটি স্তর অনুধাবনযোগ্য। চার স্তরের নির্মাণ কাঠামো পাওয়া যায়, লম্বা সময় ধরেই এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
এখানে প্রাপ্ত অনেক ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তি দেখে বোঝা গেছে যে, মহাযানী বৌদ্ধ মতাদর্শের একটি কেন্দ্র ছিল এটি। এছাড়াও এখানে নানা ধরনের নিদর্শন পাওয়া গেছে। ধূতি পরিহিত, কিরিট মুকুট, চুড়ি, হার, কোমরবন্ধ ও বাজুবন্ধ সজ্জিত লোকেশ্বর-বিষ্ণু মূর্তি, পদ্মপানি, ধ্যানী বুদ্ধ, অবলোকিতেশ্বর ও প্রজ্ঞা পারমিতা প্রভৃতি ভাস্কর্য নিদর্শন এখান থেকে পাওয়া গেছে। শিল্পশৈলী বিবেচনায় এসব প্রত্নবস্তু খ্রিষ্টীয় সাত থেকে আট শতকের নিদর্শন বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান। বর্তমানে এসব নিদর্শন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রাসাদটি এখন পড়ে আছে অবহেলায়,ভাগাড়ে পরিণত করতে যেন উঠে পড়ে লেগেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এমনকি প্রাসাদ এলাকার ভেতরে চটের তৈরি পায়খানাও তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা ১৯ আসনের মাননীয় সদস্য জনাব ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে ।
ভিডিও টি ধারণ করা হয় আমার এমপি এর একজন ভলান্টিয়ার এর ক্যামেরায় গত ১৯ জুন ২০১৯ বিকাল ৪ টায়।