কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালের বহির্বিভাগ যেখানে রোগীরা দীর্ঘ সিরিয়ালে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত সেখানে ডাক্তারের সাথে দেখা করে ব্যবস্হাপত্র নিয়ে বাহিরে এসেও মিলছে না মুক্তি। ডাক্তারের রুম থেকে হাসপাতালের গেইট প্রতি পদে পদে তাদের দেখাতে হয় তার ব্যবস্হাপত্র(পেসক্রিপশন)। আর যারা দেখেন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি (রিপ্রেজেনটেটিভ)।রোগীর অনুমতি না নিয়েই চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) দেখছেন তাঁরা। কী লেখা আছে ওই ব্যবস্থাপত্রে তা নোট নিচ্ছেন। কেউ আবার রোগীর ছবিও নিচ্ছেন।রোগীর অবস্থা তাদের বিবেচনায় বিষয় নয় শুধু ঐ ব্যবস্হাপত্রের ছবি তুলা চাই।সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে এদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।একজন রিপ্রেজেনটেটিভের সাথে কথা বলে জানা যায়“বর্তমান সময়ের প্রায় সব ডাক্তার একটা সিস্টেমে এসে কোনো না কোনো ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে টাকা, উপহার বা বিদেশ ভ্রমণ গ্রহণ করেন। বিনিময়ে ডাক্তাররা ওই কোম্পানির ওষুধ লেখেন। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোতে এরা ‘পেইড ডাক্তার’ বলে পরিচিত! তারা আমাদের ওষুধগুলো লিখছেন কি না তা দেখতে এবং ওষুধকে প্রমোট করতেই মূলত আমরা হাসপাতালে আসে।"।তিনি আরো বলেন কোন ডাক্তার যদি ঐ কোম্পানির ঔষধের নাম না লিখে তখন ডাক্তার ভিজিটের নাম করে তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে আসা হয়।। ডাক্তার ভিজিটের কারনে বাহিরে অপেক্ষমান রোগী দের যেমন সময় অপচয় হয় তেমনি ডাক্তারের রুম থেকে বাহির হয়ে আবার সেই সব এমআর দের খপ্পরে পরে রুগী ও তাদের স্বজনরা চরম বিরক্ত ।