শালবন বিহার ময়নামতীর প্রত্মতাত্তিক খননস্থানগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল। কুমিল্লার কাছে কোটবাড়ির বর্তমান বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর লাগোয়া লালমাই পাহাড়ের মধ্যবর্তী এলাকায় এর অবস্থান । ধারণা করা হয় যে, খৃস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেন।বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা হতে দর্শনার্থীরা শালবন বিহারে আসেন। তাছাড়া বিভিন্ন দেশ হতেও দর্শনার্থীরা আসেন শালবন বিহারে। মূলত শালবন বিহারের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এখানে আসেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিগত দুই বছর ধরে অযতেœ আছে উক্ত বিহারটি। বর্তমানে শালবন বিহারের ভিতর যেন গরু ছাগলের চারণভূমি। অবাধে গরু ছাগল ঢুকে নস্ট করছে শালবন বিহারের সৌন্দর্য। শালবন বিহারে বিগত চল্লিশ বছর ধরে কর্মরত একজন কর্মচারী জানান, বিগত দুইবছর ধরে অযত্নে রয়েছে শালবন বিহারটি এবং জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কথা। তিনি আরো জানান, গরু ছাগল ঢুকে শালবন বিহারের গাছ গাছালি নস্ট করার ব্যাপারে তারা অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।
ভিডিওটি গত ১৪ আগস্ট বিকাল ৪টা ১৮ মিনিটে আমার এমপি ডটকমের একজন ভলান্টিয়ার ক্যামেরাবন্দী করেন। এ বিষয়ে কুমিল্লা-০৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আকম বাহাউদ্দিন-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।