মাননীয় এমপি মহোদয় সালাম নিবেন। ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলাধীন বদরপুর ইউনিয়নের প্রানকেন্দ্রে নাজিরপুর লঞ্চঘাট অবস্হিত। নাজিরপুর লঞ্চঘাটের অপর প্রান্তে বাউফল থানার অন্তর্গত শৌলা অবস্হিত।
নাজিরপুর লঞ্চঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক কালাইয়া,বাউফল,দশমিনা,পটুয়াখালী,গলাচিপা, কুয়াকাটা,পায়রা বন্দর,বরিশাল যাতায়াত করে,বর্ষার দিনে প্রায় ৪ কিঃ মিঃ নদীপথ জীবন ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট লঞ্চ,ট্রলার,নৌকায় পারী দিতে হয়,বিকাল ৪ টার পর নেই কোন যাতায়াত ব্যাবস্হা, সেতুটি নির্মান হলে ভোলা/পটুয়াখালীর মানুষ খুব সহজে কুয়াকাটা, পায়রাবন্দর সহ চলমান পদ্মা সেতুর সংযোগ হয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবে।
বিশেষ করে সম্প্রতি আলোচিত চরফ্যাশনের চরকুকরী মুকরী ঘিরে স্বপ্নের পর্যটন নগরীতে,জ্যাকব টাওয়ার,সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্কে যাওয়া যাবে স্বাচ্ছন্দে ও সহজে।
চরফ্যাশন,মনপুরা,লালমোহন,তজুমুদ্দীন,বোরহানউদ্দীন,দৌলতখানের জন সাধারনের উৎপাদিত ধান,গম,আখ,পাট,সুপারী,নারিকেল,আলু,ডাল,পিয়াজ,রসুন সহ সকল প্রকার কাঁচা ও ভুষা জাতীয় মালামাল এবং রুই,কাতাল,সিং,মাগুর,কই,কাচকি,চিংড়ি,ইলিশ সহ যাবতীয় পুকুর ও সামুদ্রিক মাছ খুব সহজে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি ও আমদানি করতে পারবে।
সেতুটি নির্মান হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় লীলাভুমি দ্বীপ জেলা ভোলা হবে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠতম পর্যটন কেন্দ্র। মাননীয় এমপি মহোদয় নাজিরপুর টু শৌলা সেতুটি নির্মানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন কি..?