আমরা জানতে পেরেছি যে, চিকিৎসক সংকট ও বিকল যন্ত্রপাতিতে খুঁড়িয়ে চলছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। ভর্তি থাকেন গড়ে প্রতিদিন ২০ জন। কিন্তু এত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজনিয় সংখ্যক চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতি নেই এ হাসপাতালে, যা আছে তাও অধিকাংশই বিকল ও ব্যবহারে অনুপযোগী।
৫০ শয্যার জনবল কাঠামো অনুযায়ী ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু আছেন মাত্র ১৪ জন। এগুলোর মধ্যেও ট্রেনিং, মাতৃত্বকালীন ছুটি, সাধারণ ছুটিসহ অন্যান্য কারণে অনুপস্থিত থাকেন অনেক চিকিৎসক।
জরুরী রোগীদের চিকিৎসা দিতে এ্যাম্বুলেন্স বর্তমানে নেই কোন এ্যাম্বুলেন্স। প্রায় এক যুগেরও বেশি দুটি এ্যাম্বুলেন্স বিকল, এর যন্ত্রাংশও আর অবশিষ্ট নেই, বাকি একটির চাকা ঘুরছে না দেড় বছর ধরে।
এছাড়াও আলট্রাসনোগ্রাফির নেই কোন ব্যবস্থা, নেই ডেন্টাল ইউনিট, হ্যালোজেন লাইটের পরিবর্তে ১০০ ওয়ার্ডের সাধারণ বাল্ব দিয়ে রোগী দেখেন চিকিৎসক। নেই যন্ত্রপাতি জীবানু মুক্তকরণ অটোক্লেভ মেশিন, যার অভাবে হেপাটাইটিস-বি সহ হতে পারে মরণব্যাধি এইডসও।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এনালগ সিস্টেমের এক্স-রে মেশিনটি অকেজো। অন্যান্য যন্ত্রপাতিতে মরিচা পড়ে বিকল। অপারেশন থিয়েটার কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকে মাসের ৩০ দিনই।