বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ- ১৪, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট(বিএনপি)-১১ , জাতীয় পার্টি-৭
১৯৯১ থেকে ২০০৮- এই চারবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোট ও ২০১৮ সালের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা জরিপ এবং কিছু বাস্তবতার আলোকে আমারএমপি ডট কম ৩০০ টি আসনে কোন কোন প্রার্থী জয়ী হতে পারেন এই বিষয়ে একটি সম্ভাব্য গানিতিক বিশ্লেষণ করেছে। এই বিশ্লেষণে নিম্নলিখিত অনুমানকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের ক্ষমতা হচ্ছে আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখা। তবে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের পাশাপাশি আইনগতভাবে আরো অনেক নির্বাহী দায়িত্ব ও রয়েছে । ''জেলা পরিষদ আইন'' এবং ''উপজেলা পরিষদ আইন'' অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের নিম্নোক্ত ক্ষমতা চর্চা করতে পারেন।
গত এক বছর ধরে 'আমারএমপি' ডট কম বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ টি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যেসব প্রার্থী জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছে এই নিয়ে সার্ভে করে আসছে। ইতোমধ্যে সেই সার্ভে শেষ হয়েছে। আমরা বিভাগওয়ারী সেই সার্ভের ফলাফল প্রকাশ করতে যাচ্ছি। আমাদের আজকের পর্ব চট্রগ্রাম বিভাগের ৫৮ টি আসন।
প্রতিটি আসনে ফিক্সড স্যাম্পোল ছিল ৫০০০। ২০০১ এবং ২০০৮ এর নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে প্রথম ও ২য় হওয়া প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৫-১০% ছিলো সেসব কেন্দ্র থেকে এই ৫০০০ স্যাম্পোল নেওয়া হয়েছে। ডাটা সংগ্রহে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য।
www.amarMP.com থেকে আমরা নিয়মিত জাতীয় সংসদের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে পোস্ট দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা দেখিয়েছি কিভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সার্বিক ভোট প্রাপ্তির শতকরা হার ১৯৯১ থেকে ২০০৮ ক্রমশঃই বেড়েছে। আমরা এও দেখিয়েছি আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির সেইফ সিট কোনগুলো আর কোনগুলো মার্জিনাল। আজকে আরো স্পেসিফিক কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চাই।
Alhaj Hussain Muhammad Ershad -আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ Sheikh Hasina -শেখ হাসিনা
গত এক বছর ধরে 'আমারএমপি' ডট কম বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ টি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যেসব প্রার্থী জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছে এই নিয়ে সার্ভে করে আসছে। ইতোমধ্যে সেই সার্ভে শেষ হয়েছে। আমরা বিভাগওয়ারী সেই সার্ভের ফলাফল প্রকাশ করতে যাচ্ছি। আমাদের আজকের পর্ব ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ টি জেলার মোট ২৪ টি আসন।
প্রতিটি আসনে ফিক্সড স্যাম্পোল ছিল ৫০০০। ২০০১ এবং ২০০৮ এর নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে প্রথম ও ২য় হওয়া প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৫-১০% ছিলো সেসব কেন্দ্র থেকে এই ৫০০০ স্যাম্পোল নেওয়া হয়েছে। ডাটা সংগ্রহে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য।
বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদের ৩০০ টি আসনের ১৯৯১-২০০৮ সালের ভোটের সুইং/মার্জিনাল/সেইফ এনালাইসিস করে দেখা যায়, ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২১৯ টি আসনই সুইং/মার্জিনাল! আওয়ামী মেজরিটি সিট হলো ৪৩, বিএনপি মেজরিটি সিট ২৮ এবং জাতীয় পার্টি মেজরিটি সিট ১০ টি।
১৯৯১-২০০৮ সালের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এই বিভাগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন সেইফ সিট/মেজোরিটি সিট নেই পুরো চট্রগ্রাম বিভাগে।
এই বিভাগে এককভাবে এগিয়ে আছে বিএনপি; ১৫ টি মেজরিটি আসন বিএনপির।
মোট ৫৮ আসনের মধ্যে ৪৩ টি আসনই মার্জিনাল/সুইং!
১৯৯১-২০০৮ সালের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় এই বিভাগে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি মেজরিটি কোন আসন নেই। মোট ৩৬ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ মেজরিটি আসনের সংখ্যা ৬টি। বাকি ৩০ টি আসনই মার্জিনাল। ৫% ভোট এদিক সেদিক হলে জিতে যেতে পারে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির যে কোন প্রার্থী।
১৯৯১-২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় যে এই বিভাগে দলগতভাবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ৭০ টি আসনের মধ্যে ২০ টি আসনই আওয়ামী মেজরিটি আসন।
অন্যদিকে বিএনপি মেজরিটি আসন সংখ্যা সর্বোচ্চ ২ টি- একটি টাংগাইল জেলায়, অন্যটি মানিকগঞ্জ জেলায়।
জাতীয় পার্টির কোন অবস্থানই নেই ঢাকা বিভাগে।
উল্লেখ্য এই বিভাগে ৭০ টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনই মার্জিনাল/সুইন। ৫% ভোট এদিক সেদিক হলে জিতে যেতে পারে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যে কেউ।
১৯৯১-২০০৮ সালের নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষন করে দেখা গেছে যে, রাজশাহী বিভাগে জাতীয় পার্টির কোন আসনই নেই। অন্যদিকে দেখা যায় মট ৩৯ টি আসনের মধ্যে ২৮ টি আসনই মার্জিনাল/সুইং। ৫% ভোট এদিক-সেদিক হলেই জিতে যেতে পারে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি।
রাজশাহী বিভাগে এগিয়ে আছে বিএনপি। এই বিভাগে ৮ টি আসনই বিএনপি মেজরিটি আসন।
আর আওয়ামী লীগ মেজরিটি আসন মাত্র ৩ টি।